ঢাকা: ‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধানসহ দুটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
তিনটি সংগঠনের পক্ষে এ রিট করা হয় বলে রোববার (১৪ নভেম্বর) জানিয়েছেন আইনজীবী সারা হোসেন।
তিনটি সংগঠন হলো- বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও নারীপক্ষ।
আবেদনে ১৯৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ও ১৪৬(৩) ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল করা হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
পরে সারা হোসেন বলেন, এ ধারাগুলোতে বলা আছে একজন নারী যদি যৌন অপরাধের অভিযোগকারী হয় তাহলে আদালতে তার চরিত্র এবং ইতিহাস নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা যায় ও জেরা করা যায়। অনেক দিন ধরে এগুলো বাতিলে আন্দোলন হয়েছে। এখন হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।
১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারা অনুসারে কোনো লোক যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা।
জেরায় প্রশ্ন করা নিয়ে ১৪৬ (৩) এ বলা হয়েছে, তাহার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাস যোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এ রূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অপরাধের সহিত জড়িত হতে পারে, কিংবা সে দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
ইএস/আরবি