ফেনী: আলোচিত ফেনীর ফাজিলপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করার দায়ে স্বামী মো. এয়াছিনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১টার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আসামির উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবপুর গ্রামের জাফর সর্দার বাড়ির মোস্তফার মেয়ে শিরিন আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় একই এলাকার আহসান উল্লাহর ছেলে মো. এয়াছিনের সঙ্গে। বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জের ধরে সংসারে সব সময় বিবাধ লেগেই থাকতো। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শিরিনকে বৈদ্যুতিক শক লাগিয়ে হত্যার করা হয়।
৭ মার্চ এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় শিরিনের মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে ৩ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের প্রধান আসামি এয়াছিনকে গ্রেফতার করে, পরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়। বিগত বছরের ১৮ জানুয়ারি এ মামলায় এয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় দেন আদালত।
আদালতের শাখার সহকারী মো. আলতাফ হোসেন জানান, রায় ঘোষণাকালে আসামি মো. এয়াছিন কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ছিলেন। তার নামে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস ছাত্তার জনান, রায়ে আসামির ওপর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা রায়ের কপি নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, আসামি নিজেই আদালতে ১৬৪ ধারায়জবানবন্দিতে নিজেই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়াও আসামির নামে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
মামলার বাদী শিরিনের মা রোজিনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এখন একটাই চাওয়া মৃত্যুদণ্ড যেন দ্রুত কার্যকর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
এসএইচডি/এএটি