কুমিল্লা: কাউন্সিলর সোহেল হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আসামি রাব্বি ইসলাম অন্তু সোমবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে হিট স্কোয়াডের সদস্যদের অটোরিকশা ভাড়া করে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি।
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কায়সার হামিদ।
জানা যায়, কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় হিট স্কোয়াডে ছিল ৬ জন। খুনের আগে ৫ নম্বর আসামি সাজনের বাসায় বৈঠক হয়।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম ও নাজিমের সিসি টিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। ২৮ সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যায়, শাহ আলম ও নাজিম গুলি করতে করতে দৌড়াচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শাহ আলম ও নাজিমকে চিহ্নিত করেছি। তথ্যানুসন্ধানে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, হিট স্কোয়াডে ছিল ৬ জন। তারা হলেন- মামলার ১ নম্বর আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি জেল সোহেল, ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন, ৫ নম্বর আসামি সাজন। এছাড়াও স্থানীয় নাজিম নামে এক যুবক ও ফেনী থেকে আসা অজ্ঞাত এক আসামি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধানে আমরা আরও জানতে পেরেছি যে, এজহারভুক্ত আসামি সাজনের বাসায় বৈঠক শেষে কিলিং মিশনে আসে অন্যরা।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলর কার্যালয় সংলগ্ন থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা। এ ঘটনায় আরও ৫জন গুলিবিদ্ধ হন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
এমএমজেড