ঢাকা: ১৯৯৯ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রেবতি মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ ও মন্টু চন্দ্র ঘোষ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনর রশিদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আমির হোসেন খোকন তার চারবন্ধুসহ তানিয়াকে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ শীতলক্ষা নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা। খোকন এবং তানিয়া পূর্ব পরিচিত।
এই ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওই ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত।
রায়ে মোহর চান ও আমির হোসেন খোকনকে ফাঁসি এবং সফর আলী, নুরে আলম ও মনিরকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।
এরপর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের নথি) হাইকোর্টে আসে। আর আসামি আপিল ও জেল আপিল করেন। দুটির একসঙ্গে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হয়।
জাহিদ আহামদ হিরো জানান,মোহর চান ও আমির হোসেন খোকনের ফাঁসির দণ্ড এবং সফর আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। আর নুরে আলম ও মনিরকে খালাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
ইএস/এজে