দিনাজপুর: কিশোরী কনের বদলে তার ভাবিকে বৌ সাজিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি, বন্ধ হয়েছে বাল্যবিয়ে। আর এ বাল্যবিয়ে দিতে গিয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে রেহান রেজা (৪৭) নামে এক কাজীকে (নিকাহ রেজিস্ট্রার)।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ন্যাটাশন গ্রামে অভিযান চালিয়ে এ জেল-জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার এ জেল-জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে সেখানে অভিযান চালাই। কিন্তু অভিযানের খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়ে যান। আমাদের বোকা বানানোর জন্য নাবালিকা মেয়েকে সরিয়ে তার ভাবিকে বৌ সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। অভিযানের আগেই কাজী নিকাহ রেজিস্ট্রারে খসড়া লেখা শেষ করেছিলেন। পরে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় এবং কাজী ও বর স্বীকার করায় কাজীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও বরকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করি। একইসঙ্গে কনের বাবার কাছ থেকে ভবিষ্যতে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত কাজীকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
কাজী রেহান রেজা উপজেলার চেংমারী গ্রামের হুমাউন রেজার ছেলে। বর রুবেল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
এসআই