ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ের তারিখ ইতোমধ্যে একদফা পিছিয়েছে।
চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।
তবে, রায়ে আর কোনো বিলম্ব হোক তা চায় না আবরারের পরিবার। নিহত আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ ২৬ মাস হলো ভাইয়াকে হত্যা করার। আগামীকাল (আজ) আবারো রায় ঘোষণার দিন ধার্য আছে। আশা করছি, আদালত আর বিলম্ব না করে মামলার রায় দেওয়া হবে। দেরিতে হলেও সব আসামি তাদের প্রাপ্য শাস্তি পাবে এটা আমাদের সকলেরই চাওয়া। ’
একই চাওয়া আবরারের বাবা ও এই মামলার বাদী বরকত উল্লাহর। রায় শুনতে আদালতে আসতে একদিন আগেই উঠেন ঢাকায় এক আত্মীয়র বাসায়।
রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের সবার যেন মৃত্যুদণ্ড হয়, সেই প্রত্যাশা করছি। এবার যেন রায়ের তারিখ পেছানো না হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে- বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
গত ১৪ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। ওইদিনই বিচারক রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক সেদিন রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। আর রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয় ৬০ জনকে।
চার্জশিট দাখিলের পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তরের আদেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিচারকাজে বিঘ্ন ঘটে। শেষ পর্যন্ত বিচার শুরুর এক বছর দুই মাসের মধ্যে পুরো কার্যক্রম শেষে গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিচারকাজ শেষ হয়। বিচার চলাকালে মামলার বাদী আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ মোট ৪৬ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
কেআই/এএটি