সিলেট: মন্ত্রিত্ব হারানো ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজনের নামে সিলেটের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সিলেটের আদালতে সংক্ষুব্ধ হয়ে আইনজীবী তানভীর আকতার খান এ মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দী নেওয়ার পূর্বক আগামী ১৫ ডিসেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট তানভীর আক্তার খান বলেন, প্রত্যেকের বাসায় মা-বোন রয়েছেন। যে ঘটনায় মামলার অবতারণা। দায়িত্বশীল একটা পদে থেকে যে বক্তব্য দিয়েছেন ডা. মুরাদ। তা পুরো নারী জাতিকে অবমাননা করা হয়েছে। যে কারণে আইনজীবী ওবায়দুর রহমান ফাহমির মাধ্যমে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৭, ৩১ ও ৩৫ ধারায় দায়ের করা মামলায় ডা. মুরাদসহ তার বক্তব্য প্রচারকারীকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়ের শেষে বিএনপি নেতা ও সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ বলেন, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির তারভীর আক্তার খান বাদী হয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি আশাবাদী আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ডা. মুরাদ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু জাইমা রহমান ব্যারিস্টারি পড়ছেন। পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য থাকলেও জাইমা রহমান এখনো কোনো রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয়। অথচ তার সম্পর্কে খুবই খারাপ মন্তব্য করেছেন ডা. মুরাদ। তাই এই কুলাঙ্গারকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে যেনো বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
এর আগে, রাজশাহীর আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।
অপরদিকে সকালে ডা. মুরাদ হাসানের নামে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসানের আদালতে আরেকটি মামলার আবেদন করা হয়। মামলার অন্য আসামি হলেন মহিউদ্দীন হেলাল নাহিদ।
চলতি মাসের ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ডা. মুরাদ হাসানের একটি সাক্ষাৎকার নেন সিবিএমের উপস্থাপক নাহিদ। ওই সাক্ষাৎকারে ডা. মুরাদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ভাষায় নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দেন। এছাড়া বিভিন্ন টকশো ও অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান। এ ঘটনার পর তিনি কানাডার উদ্দেশে দেশে ছাড়েন। তবে, সে দেশে ঢুকতে না পেরে তিনি দুবাই যান। এখন তিনি কোথায় আছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
এবার খুলনায় মুরাদের নামে মামলার আবেদন
চট্টগ্রামেও মুরাদের নামে মামলার আবেদন
মুরাদ হাসানের নামে রাজশাহীতে মামলার আবেদন
মুরাদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
এনইউ/এএটি