সুনামগঞ্জ: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর আপত্তিকর ছবি পোস্ট ও শেয়ার করায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা মডেল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার ভাই হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রঙ্গলাল দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তারা উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের ভাইটগাঁও গ্রামের নলেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ পর্নোগ্রাফি মামলার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুর রহিম জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাবেক এক ইউপি সদস্যের সঙ্গে বিবিয়ানা মডেল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। একপর্যায়ে ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে অধ্যক্ষ তাকে সিলেটের শিববাড়ী মন্দিরে নিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর সংসারে তুলে নেওয়ার দাবি জানালে অধ্যক্ষ টালবাহানা শুরু করেন এবং একপর্যায়ে মতবিরোধের ফলে অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র ওই নারীকে মারধর এবং হুমকি দেন। পরে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ওই নারীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন তিনি। এ ছাড়া অধ্যক্ষের ভাই রঙ্গলাল দাস আরেক নারীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি সদস্য দুই ভাইকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। বিচারকাজ চলাকালে গেল বছরের ২৮ নভেম্বর বিবিয়ানা মডেল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র ও তার ভাই চেয়ারম্যান রঙ্গলাল দাস আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, আসামিরা জামিন চাইতে এলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
এসআই