ঢাকা: ভুয়া বিল ভাউচার দাখিলপূর্বক টাকা উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম খানকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া আত্মসাৎ করা ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ারুল ইসলাম খান পলাতক ছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
দুদকের উপ-পরিচালক একেএম বজলুর রশীদ ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রমনা থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আবু হানিফা, সহকারী প্রধান (কারিগরি ও সহায়তা) শরিফুল ইসলাম ও মোখলেছুর রহমান, অফিস সহকারী রশিদুল ইসলাম ও এমবি এন্টারপ্রাইজের মালিক মনিরুজ্জামান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র তৈরির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কাজের জন্য ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ টাকা উত্তোলন করেন আসামিরা। সেই টাকা দিয়ে কোনো কাজ না করে ভুয়া বিল ভাউচার দাখিলপূর্বক বিলের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৮ জুন আনোয়ারুল ইসলাম ও মনিরুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কমিশনের দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আজিজুল হক। অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
পরবর্তীতে চার আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালে মনিরুজ্জামান মারা গেলে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
কেআই/এমআরএ