শেরপুর: স্ত্রীকে হত্যার দায়ে শেরপুরে আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল-মামুন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আলমগীর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বিলভরট গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলমগীরের ভাবী অভিযুক্ত রাবিয়া বেগমকে (৩৫) বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রায়ের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন দায়রা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।
এ সময় তিনি জানান, ২০১৬ সালের ০৯ মার্চ রাতে গৃহকর্তা আলমগীরের বসতঘর থেকে স্ত্রী জান্নাত বেগমের (২৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় পরদিন ১০ মার্চ শ্রীবরদী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হলেও পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মতামতে বলা হয়, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এরপর জান্নাতের বাবা পার্শ্ববর্তী ভায়াডাঙা বানিয়াপাড়া গ্রামের জাম্বিল মিয়া বাদী হয়ে ওই বছরের ০৩ মে আলমগীরকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আলমগীর গ্রেফতার হলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান- পরকীয়া সম্পর্কের কারণে ভাবী রাবিয়ার সহযোগিতায় স্ত্রী জান্নাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ নভেম্বর দেবর-ভাবীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ।
সাক্ষ্য প্রমাণ নেওয়া শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আলমগীরকে ওই দণ্ড দেন বিচারক। আর নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাস পান ভাবী রাবিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
এসআরএস