ঢাকা: কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার জুবিলী ব্যাংকের অবসায়নে অফিসিয়াল লিকুইডিটর (অবসায়ক) হিসেবে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ গত বছরের ২৯ নভেম্বর আদেশ দেন।
১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার জানিপুরে ‘খোকসা জানিপুর জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাংকটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা শুরু করে।
ব্যাংকটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি নাম পরিবর্তন করে হয় ‘জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ (অতফসিলি পাঁচটি ব্যাংক)। বিভিন্ন সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর কয়েক খুনি জুবিলী ব্যাংকের মালিকানায় ছিলেন।
গত কয়েক বছরে ব্যাংকটি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এটির অবসায়নে হাইকোর্টে আবেদন করে।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম, কাজী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল ওহাব এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন একেএম বদরুদ্দোজা।
বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম জানান, ব্যাংকটির মূলধনের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান মানা হয়নি। এ কারণে অবসায়ন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আদেশে আদালত আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে ‘দ্য অফিসিয়াল লিক্যুইডিটর’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ জন্য তাকে প্রতি মাসে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফারিয়া হককে অতিরিক্ত লিক্যুইডিটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। এছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নয় মাসের মধ্যে তারা এ ব্যাংকের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সকল কাজ সম্পন্ন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
ইএস/এমজেএফ