ঢাকা: রাস্তা সংস্কারে ২৬৬ মন গম আত্মসাতের অভিযোগে ৩৫ বছর আগের দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার হোসেনদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চার জনপ্রতিনিধিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
যদিও এর মধ্যে একজন মারা গেছেন।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আপিল মঞ্জুর হয়েছে। এর ফলে সাজার রায় বাতিল হওয়ায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন এবং তাদের জরিমানার রায়ও বাতিল হয়ে গেছে।
রাস্তা সংস্কারের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে ১৯৮৭ সালের ২০ জুন পাকুন্দিয়া থানায় হোসেনদি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাস্টার, ইউপি সদস্য মানসুরুল হক, মো. আব্দুল ও মনজুরুল হককে আসামি করে মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৪ দিন মাটি কেটে সড়ক সংস্কারের কথা বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে দেখা যায় যে এ সময়ে মাটি কাটা হয়েছে মাত্র এক হাজার ২০ ঘনফুট। এতে তারা ২৬৬ মন গম আত্মসাত করেছে।
১৯৮৮ সালের ১৭ জুলাই এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। বিচার শেষে ১৯৯০ সালের ৮ নভেম্বর দণ্ডবিধির ৪০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামিদের প্রত্যেককে ৬ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
এর বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। ওই আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় মারা যান আসামি মনজুরুল হক।
কিন্তু আপিলে দুদককে পক্ষভুক্ত না করায় উচ্চ আদালতে এ আপিলের শুনানি হয়নি। গত বছর দুদক এ মামলায় পক্ষভুক্ত হয়। এরপর এ মামলার আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
ইএস/আরবি