ঢাকা: করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে রোববার (৬ মার্চ) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে।
এ কারণে মামলার শুনানিকালে বিচারক ও আইনজীবীদের পরিধেয় পোষাকেও পরিবর্তন এসেছে।
রোববার থেকে বিচারপতি ও আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
মহামারি করোনার সংক্রমণের সময় ভার্চ্যুয়াল ও ক্ষেত্র বিশেষে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলে আসছিল। এর মধ্যে গত বছরের ২৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জারি করে একটি বিজ্ঞপ্তি।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ০১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এরপর গত ০১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু হয়।
এর মধ্যে করোনা মহামারির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৯ জানুয়ারি থেকে ফের ভার্চ্যুয়ালি বিচার কাজ শুরু করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
পরদিন ২০ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির আদেশে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভার্চ্যুয়ালি বিচার কাজ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম কোর্ট। আগামীকাল ৬ মার্চ থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে বলে গত ০৩ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। একইদিন গাউন পরা নিয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা শারীরিক উপস্থিতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ ও জাজেস কোট এবং গাউন পরিধান করবেন।
আইনজীবীরা শারীরিক উপস্থিতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ ও কালো কোট/শেরওয়ানি এবং গাউন পরিধান করবেন।
>>> আদালতে ফিরছে কালো কোট-গাউন
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
ইএস/এসআরএস