ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার লেনদেনের তথ্য সরবরাহে নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার লেনদেনের তথ্য সরবরাহে নির্দেশ

ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ও ইভ্যালির সাবেক এমডি মো. রাসেল এবং সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীনের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহে কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত নিযুক্ত ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের কাছে এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

ইভ্যালির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব কবীর মিলনের করা দুটি আবেদনের শুনানির নিয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া ইভ্যালি ও ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আর্থিক লেনদেনের চেক সংক্রান্ত মামলায় আদালত গঠিত বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের নামে সমন বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়ে থাকলে, নেগোশিয়েবল ইনসট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১-এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী সেসব সমন-পরোয়ানা বাতিল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা ও দায়রা জজ, মুখ্য মহানগর দায়রা জজ, মুখ্য মহানগর হাকিম ও মুখ্য বিচারিক হাকিমকে এ নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

আদালতে বোর্ডের পক্ষে  ছিলেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী  সৈয়দ মাহসিব হোসেন।

আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান জানান, অডিটের স্বার্থে ইভ্যালির আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য দরকার। এ কারণে বোর্ড আবেদন করেছিল। আদালত ইভ্যালির আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানিয়েছিলেন, আবেদনকারী ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনার রশিদও দিয়েছে। কিন্তু এতদিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেয়নি। আবেদনকারী যোগাযোগ করার পর তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে পণ্যটি দেয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি ইভ্যালি। যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি আবেদনকারী। তাই তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনে কোম্পানিটির অবসায়ন চাওয়া হয়েছে।

তার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আবেদনটি অ্যাডমিট করেন। এছাড়া আদেশে ইভ্যালির যত সম্পদ রয়েছে, সেটা যেন বিক্রি অথবা হস্তান্তর না করা যায়। আদালত একটি নোটিশ ইস্যু করেন, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না।

আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে।

এরপর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) বোর্ড গঠন করেন হাইকোর্ট।

বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে—স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।