লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে সাড়ে ৫ হাজার জাল টাকা রাখার দায়ে মো. হুমায়ূন কবির (৫৩) নামে এক ব্যক্তির ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫২টি ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার দায়ে আনোয়ার হোসেন সুমন (৩৯) নামে এক মাদকবিক্রেতার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম পৃথক এ দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁশুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাল টাকার মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হুমায়ূন কবির লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাদিরা গ্রামের ভুট্টু মিস্ত্রি বাড়ির বাসিন্দা।
মাদক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন সুমন ওরফে টাইগার সুমন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সমসেরাবাদ গ্রামের মিনা গাজী বাড়ির মো. শাহ আলম মন্টুর ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৪ জুলাই রাত ১১টার দিকে হুমায়ূন কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট বাজারের হাওলাদার মেডিক্যাল হলে এক হাজার টাকার জাল টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে যান। দোকানি রাসেলের সন্দেহ হলে সে ওই নোট পাল্টে দিতে বলেন। পরে হুমায়ূন আরেকটি এক হাজাট টাকার জাল নোট দেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করে কমলনগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পুলিশ তার দেহ তল্লাশি করে আরও সাড়ে তিন হাজার টাকাসহ মোট সাড়ে পাঁচ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করে।
পরদিন থানার উপপরিদর্শক আমির হোসেন বাদী হয়ে কমলনগর থানায় মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠায়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম তার নামে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালত ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অবৈধ জাল টাকা নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে আসামি হুমায়ূনের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন।
এদিকে একই আদালত মাদকের একটি মামলায় আনোয়ার হোসেন সুমন ওরফে টাইগার সুমনের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন।
২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে টুমচর রাস্তার মাথা থেকে জেলা ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের হাতে ৫২টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক হয় সুমন। পরে ডিবি পুলিশের এসআই সোহাগ পহলান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর টেবিল ৯(খ) ধারায় মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
আদালত তাকে কারাগারে পাঠালে পরবর্তীতে জামিনে বের হন তিনি। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. এহতেশামুল হক তার বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সোমবার তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। এসময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
আরএ