ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ছাগল চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২২
ছাগল চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন সাখাওয়াত হোসেন জসিম

লক্ষ্মীপুর: ছাগল চুরির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির একদিন পর আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম।

মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জমিন আবেদন করেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই মামলার আরও ৫ আসামী।

 

এর আগে, সোমবার (৬ জুন) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আমলী অঞ্চলের বিচারক নুসরাত জামান অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ২৭ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন চেয়ারম্যান জসিমের ভাতিজা জুলফিকার আলী।

আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-  ফরহাদ হোসেন সুমন, নুরুল আমিন, খুরশিদ আলম। তারা উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরসীতা গ্রামের বড় বাড়ির বাসিন্দা।

চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম জামিনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত আমাদের সবাইকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। সাজানো ঘটনায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। চুরির ঘটনায় তিনি বা তার কোন লোক সম্পৃক্ত নয়।

জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আমলী আদালতে জুলফিকার আলী চৌধুরী চুরির মামলা দায়ের করেন। এতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলে ইফতেখার হোসাইন শাওনসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাছ এবং মাছের খাদ্য লুটেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশনা দিয়েছে।

এজাহার সূত্র জানায়, রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় বাড়ির সামনে চেয়ারম্যান জসিমের ভাতিজা জুলফিকার আলীর একটি প্রজেক্ট রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি ভোর রাতে সেখানে ঢুকে দুটি ছাগল জবাই ও চুরি করে নেয় অভিযুক্তরা। এছাড়া ওই প্রজেক্টে থাকা মাছের খাদ্য এবং একটি পাম্প চুরি করা হয়। ওইদিন সকালে প্রজেক্টে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন এবং ঘটনাস্থলে ছাগল জবাই করার রক্তের দাগ দেখতে পান। চাচা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভাতিজার জমি সংক্রান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে চাচা-ভাতিজার মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।