ঢাকা: ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ৪৫ জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
শনিবার (১১ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে দেওয়া হয়েছে ১২ বছরের দণ্ড। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কম দণ্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ এটা হলো অর্গানাইজ ক্রাইম। এখানে কম বেশি দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই রফিকুল আমীন ছাড়া বাকিদের দণ্ড বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে আবেদন উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে, হারুন-অর-রশীদের আপিল বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তবে তাকে জামিন দেননি উচ্চ আদালত।
চলতি বছরের ১২মে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেইসঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন। বাকিদের আপিলের খবর পাওয়া যায়নি।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দু’টি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এরমধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দু’মামলাতেই আসামি।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমীনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
ইএস/জেডএ