ঢাকা: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রী মজুমদারকে হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) দ্বিতীয় দিনের মতো বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে রয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি হারুনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপন করছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে আজকে সহ দুই দিন শুনানি হয়েছে। আগামীকালও ডেথ রেফারেন্সটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আছে। আমাদের শেষ হওয়ার পর আসামিপক্ষে আইনহজীবীরা শুনানি করবেন।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকার সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল হিমুকে ধরে নিয়ে যায় আসামি শাওন, রিয়াদ, সাজু ও ড্যানি।
হিমু ওই স্কুল থেকে ‘এ’ লেভেল পাস করেন। আসামিরা তাকে ধরে পাঁচলাইশ এলাকায় রিয়াদের বাবা ব্যবসায়ী টিপুর বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে মারধরের পর হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেওয়া হয় ছাদ থেকে। হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর একই বছরের ২৩ মে মৃত্যু হয় হিমুর।
হিমু খুনের ঘটনায় তার মামা প্রকাশ দাশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় এই হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
বিচার শেষে ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম।
পাঁচজন হলেন—শাহ সেলিম ওরফে টিপু, শাহাদাত হোসেন, মাহাবুব আলী, শাহ সেলিমের ছেলে জুনায়েদ রিয়াদ ও তার বন্ধু জাহিদুল ইসলাম। এদের মধ্যে জুনায়েদ ও জাহিদুল পলাতক।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা জেল আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
ইএস/এমজেএফ