মাদারীপুর: মাদারীপুরে মামাকে হত্যার দায়ে ভাগ্নে নাসির ব্যাপারীকে (৩৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার ১০ বছর পর মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। এসময় মামলার সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নাসির সদর উপজেলার চরকুলপদ্বী এলাকার কাদের ব্যাপারীর ছেলে। মামলা হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ২০১১ সালের ২ এপ্রিল সদর উপজেলার চরকুলপদ্বী এলাকার মৃত মতলেব তায়ানীর ছেলে লিটন তায়ানীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় লিটনের ভাগ্নে নাসিরসহ নয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত লিটনের ভাই মিজান তায়ানী। পরে নাসির ও তার ভাই সুমন ব্যাপারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মাদারীপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান। নাসির ও সুমনকে অভিযুক্ত করায় মামলার বাদী আদালতে নারাজি জানালে আদালত এ মামলার সব আসামিকে শ্রেণিভুক্ত করে বিচার বিভাগে পাঠান। পরে বিচারিক আদালত দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন। এ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ না হওয়ায় অপর সাত আসামি মজনু ব্যাপারী, সজীব ব্যাপারী, ইব্রাহীম মীরা, হাবুল মীরা, ফারুক মীরা, সুমন ব্যপারী ও সোহেল খানকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় শুধু সোহেল খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
মাদারীপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এ মামলার ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
এসআই