ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাসানের জামিন বাতিল চান নিহত রায়হানের মা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
হাসানের জামিন বাতিল চান নিহত রায়হানের মা মা সালমা বেগম। 

সিলেট: রায়হান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক টুআইসি বরখাস্তকৃত এসআই হাসান উদ্দিনের জামিন বাতিল চেয়েছেন নিহতের মা সালমা বেগম।  

মঙ্গলবার (১৪ জুন) আদালতে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সালমা বেগম বলেন, এই মামলার আসামিদের কারো জামিন হওয়া মানে আমরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়া।

আমরা চাই তার জামিন বাতিল হোক। কেননা, রায়হান হত্যার অন্যতম হোতা হাসান। তিনি আকবরকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করেছিলেন, নয়তো বিচার প্রক্রিয়া অনেকদুর অগ্রসর হতো।

এদিন মহানগর আদালতের দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহিম আরও ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হলো। বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা সাক্ষ্যগ্রহণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের পাবিলিক প্রসিকিউটর নওশাদ আহমদ চৌধুরী।  

তিনি বলেন, আলোচত রায়হান হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত হাসানের জামিন দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, হাসানের জামিন বাতিলের বিষয় আইনী প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছেন তারা।  

মঙ্গলবার দুপুরে এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণকালে কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।  

গত ১১ মে নিহত রায়হানের স্ত্রীর হত্যা মামলার বাদী তাহমিনা আক্তার তান্নীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।  

রায়হান হত্যা মামলায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন তৎসহ ৩০২ দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা ও ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬৯ জন সাক্ষী রয়েছেন।  

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান উদ্দিনকে ধরে নিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর সকালে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রায়হান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা দায়ের করেন।  

মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত করে। এরপর ওই বছরের ১৩ অক্টোবর পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। গত বছরের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত ৫ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও উচ্চ আদালত থেকে হাসান জামিন পেয়েছেন এবং নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।