ঢাকা: গৃহকর্মী ফারজানা আক্তারকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমির জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান মিয়া জামিন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ আসামি আগে আত্মসমর্পণ করার সময় জামিনের আবেদনে যে স্বাক্ষর করেছিলেন আজকে দেখি অন্য রকম স্বাক্ষর। এজন্য আদালতে ভুয়া হাজিরা দেওয়ার কারণে আইনজীবীকে কারণ দর্শানো ও জামিন বাতিলের আবেদন করি। আদালত আসামি সুমির জামিন বাতিল করেন। এছাড়া আইনজীবীকে এ রকম হাজিরা দাখিলের জন্য সতর্ক করেন।
জানা যায়, ফারজানাকে ২০১৫ সালে মাসিক তিন হাজার টাকার বিনিময়ে সামিয়ার বাসায় কাজে দেয় পরিবার। পরে বিভিন্ন সময় ফারজানা পরিবারকে জানায়, সামিয়া তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে, মারধর করে ও খাবার দেয় না। গত ১৭ জনুয়ারি সামিয়া ফোনে ফারজানার বাবাকে জানায়, তার মেয়ে খুব অসুস্থ। এরপর ওইদিনই স্ত্রী জোৎসনা বেগমকে (৩৫) নিয়ে বিল্লাল হোসেন ওই বাসায় গিয়ে ফারজানাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। লোকদের সহায়তায় মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। কিছুটা সুস্থ হলে ফারজানা তাকে জানান, কাজে যোগদান করার পর থেকেই সামিয়া ফারজানাকে বিভিন্ন তুচ্ছ কারণে মারধর করতো। পেটের দায়ে সে সব অত্যাচার নিরবে সহ্য করে আসছিল।
গত ১৫ জানুয়ারি ঘর গোছানো ও বাসনপত্র ভেঙে ফেলার মিথ্যা অভিযোগে এবং কাজে দেরি হওয়ার তুচ্ছ অজুহাতে সামিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ফারজানাকে লাঠি নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তাকে লোহার খুন্তি গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেয়। যাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মক পোড়া জখম হয়।
এ ঘটনায় ফারজানার বাবা বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া কলাবাগান থানায় ২০ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
কেআই/আরবি