চাঁপাইনবাবগঞ্জ: একটি চেক জালিয়াতির মামলায় ওয়ারেন্ট তামিল না করায় আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন। পরে আদালত ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড না করার জন্য সতর্ক করে তাকে ক্ষমা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ওয়ারেন্ট তামিল না করার কারণ ও তার অগ্রগতি তুলে ধরেন ওসি।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আদালত পরিচালনা করেন।
এর আগে, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীরের আদালত চেক জালিয়াতির একটি মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। পরে দীর্ঘ পাঁচ মাসে চারটি ওয়ারেন্টের তারিখ অতিবাহিত হলেও ওয়ারেন্ট তামিল না করায় আদালত ওসি এমরান হোসেনকে আদালতে হাজির হয়ে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেন।
এতে আদালতের আদেশ পাওয়ার পর চন্দ্রিমা থানার ওসি আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ওয়ারেন্টের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ওসি এমরান হোসেন। এ সময় আদালত ওসিকে সতর্ক করে ক্ষমা করেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীর।
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২০২১ সালের ১৯ জুলাই একটি চেক জালিয়াতির মামলা হয়। পরে আদালত চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আদেশ দেয়। যা ৯ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা হয়। ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর চারটি ধার্য তারিখ বা ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার ওয়ারেন্ট অনুয়ায়ী কোনো ব্যবস্থা নেননি। এমনকি কী কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাও আদালতের কাছে ব্যাখা করেননি ওসি। যা আদালত অবমাননার শামিল হিসেবে গণ্য করেন আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন ওসির বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ পালন না করার জন্য বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, মর্মে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ওসিকে নির্দেশ প্রদান করে আদালত।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান হোসেন মোবাইলফোনে বলেন, আদালতের নির্দেশে সশরীরে হাজির হয়ে ওয়ারেন্ট হওয়া মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেছি। পরে মামলাটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এএটি