ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে হত্যার মামলায় হারুনুর রশিদ বেপারী (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন রায়পুর উপজেলা চরবংশী গ্রামের হযরত বেপারীর ছেলে।  

এ মামলায় অভিযুক্ত আরও চার আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- রায়পুর উপজেলার চর আববিল ইউনিয়নের মৃত মিন্নত আলীর ছেলে আবুল কালাম ওরফে কালু বেপারী (৪২), উদমারা গ্রামের মৃত শাহজাহানের ছেলে মো. জাহিদ ওরফে আবুল কাশেম (৩৪), চর আবাবিল গ্রামের তোফায়েল পলোয়ান (৩১) ও একই এলাকার জামালের ছেলে আকতার হোসেন ওরফে গাঁজা আকতার (৩৬)।  

মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।  

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, আসামি হারুনুর রশিদ ভিকটিম জলিল সর্দারের গলায় চেইন পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। আদালতে সন্দেহাতিতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।  

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে হারুনুর রশিদ মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে জলিল সর্দারকে ডেকে নিয়ে গেলে তিনি আর বাড়ি ফিরে যাননি। পরদিন সকালে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বান্দের পাড় ধানক্ষেতে জলিল সর্দারের মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।  

ওইদিন জলিল সর্দারের বাবা সিরাজ সর্দার (৬৭) বাদী হয়ে রায়পুর থানায় অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি লক্ষ্মীপুর জেলা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু জাহের সরকার তদন্ত করেন। এতে হারুনুর রশিদকে প্রধান করে আবুল কালাম ওরফে কালু বেপারী, মো. জাহিদ ওরফে আবুল কাশেম, তোফায়েল পলোয়ান ও আকতার হোসেন ওরফে গাঁজা আকতারকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম এবং অভিযুক্তরা একত্রে আড্ডা দিতো এবং গাঁজা সেবন করতো। ভিকটিম জলিল সর্দারের ২য় স্ত্রী পারুল বেগমের মোবাইল ফোন চুরিকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে জলিলের বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে হারুনুর রশিদ মোবাইল ফোনে জলিলকে ডেকে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।  

আদালতের পিপি জসিম উদ্দিন জানান, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত একজনকে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনসহ আরও তিনজন উপস্থিত ছিলেন। আদালত হারুনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।