ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন (মেডিক্যাল রিপোর্ট) চেয়েছেন হাইকোর্ট।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৯ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ৯ জুন শুনানির জন্য তার আপিল গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। তবে তাকে জামিন দেননি উচ্চ আদালত।
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় হয়। তাতে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দু’টি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
ইএস/এসআই