ঢাকা: ২০১৩ সালে রাজবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতে দেওয়া দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডিত অপর আসামিরও দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিল খারিজ করে বুধবার (২৯ জুন) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর রিফাত প্রাইভেট পড়ে শহর থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় সৌদি প্রবাসী মুক্তার হোসেন মন্ডলের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত হোসেনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর রিফাতের বাবার কাছে মোবাইল ফোনে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন আসামিরা। অপহরণের রাতেই শিশুটিকে কোমল পানির সঙ্গে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর রিফাতের লাশ বস্তাবন্দী করে এক আসামি রক্তিমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেওয়া হয়।
প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ প্রথমে রক্তিমকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী লাশ উদ্ধার করে। রিফাতের বাবা ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিনজনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিচার শেষে ২০১৬ সালের ১৮ মে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ওসমান হায়দার রায় দেন। রায়ে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দার টিঅ্যান্ডটি পাড়া এলাকার রঞ্জন সরকার ওরফে রক্তিম এবং রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর চরনারায়ণপুর গ্রামের রনিকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।
এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
ইএস/এমজেএফ