গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সহিদুল মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী খোন্দকার আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মোচড়া গ্রামের রাঙ্গা মোল্লার ছেলে সহিদুল মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের মো. ছমির গাজীর মেয়ে লাভলী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সহিদুল নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করতো এবং লাভলীকে নির্যাতন করে আসছিল। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে পুনরায় যৌতুকের জন্য চাপ দিলে লাভলী বেগম ঢাকায় চলে যান ও গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পরে সহিদুল লাভলীর পরিবারের হাতে পায়ে ধরে তাকে ফের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার কিছুদিন পর সহিদুল আবার লাভলীর কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে লাভলী রাজি না হওয়ায় সহিদুল ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে লাভলীকে নিয়ে বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠের মধ্যে গলায় মাফলার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরের দিন সকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাভলীর মরদেহ উদ্ধার করে। ২১ নভেম্বর নিহতের বাবা ছমির গাজী সহিদুল মোল্লাসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে সহিদুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় দেন।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার বাড়ৈ ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট পিযুষ কুমার চন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২২
আরএ