ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনের মামলায় প্রথম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
সোমবার (০৪ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
এদিন একজন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত থাকলেও করোনা আক্রান্ত থাকায় আসামি আবুল কালাম আজাদ আদালতে হাজির হননি। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে রয়েছেন। তাই তাদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। বিচারক আসামি পক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৪ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান ও সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান। আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে ও বাকিরা জামিনে আছেন।
গত ১২ জুন আসামিপদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণের আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন।
চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩,৫০০ টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন।
এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
কেআই/এমজেএফ