কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় দায়ের করা ভাবিকে হত্যার দায়ে শুকুর আলী নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মিরপুর থানায় দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় তাজুব্বর মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০৪ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ম এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে পৃথক দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শুকুর দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব আমদামী ঘাট এলাকার মৃত সাহাজ উদ্দিন শেখের ছেলে। আর তাজুব্বর মালিথা মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া বাজারপাড়া গ্রামের আকবার মালিথার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ মার্চ শুকুর পানি না নিয়ে বাথরুমে যান। পরে তার মেয়ে বিথীকে (৭) ডেকে বাথরুমে পানি দিতে বললে বিথী পানি না দিয়ে চলে যায়। পরে বের হয়ে মেয়েকে গালিগালাজ করতে থাকেন তিনি। এসময় শুকুরের বড় ভাবি রওশনা মেয়েকে বকতে নিষেধ করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠানে থাকা কোদাল দিয়ে রওশনার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় একদিন পর নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর শুকুরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার এ রায় দিলেন বিচারক।
অপরদিকে মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গিয়াস উদ্দিন পিস্তলের বাড়ির উত্তর পাশের আম-কাঁঠালের বাগানে অস্ত্র ও বোমাসহ অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাসীদের একটি দল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাজুব্বর মাথিলাকে দেশি বন্দুক এবং তিন রাউন্ড গুলিসহ আটক করে। পরে মিরপুর থানায় তার নামে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত সোমবার এ রায় দিলেন।
কুষ্টিয়া কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী পৃথক মামলা দু’টির রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রায় শেষে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
এসআই