সাভার, (ঢাকা): চাঁদাবাজির মামলায় জামিন নিতে এসে বিভিন্ন মামলার জের চলে আসায় ১৯ মামলার আসামি ইউপি সদস্য রাজন ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী ফাইজুর রহমান মনির ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঢাকা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলামের আদালত থেকে রাজন ভূঁইয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত সাত দিন ধরে তিনি কেরানীগঞ্জের কারাগারে রয়েছেন।
রাজন ভূঁইয়া আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তার বিরুদ্ধে থানায় দখল, মাদক ব্যবসাসহ প্রায় ১৯টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফাইজুর রহমান মনির বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) আদালতে ৮৪/৫ মামলার ধার্য তারিখ ছিল। ওইদিন রাজন ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজন ভূঁইয়ার নামে যে মামলাটি করছে সেটি হচ্ছে চুরি, চাঁদাবাজি ও সঙ্গবদ্ধভাবে আক্রমণসহ মারামারি করার অপরাধের। তার নামে আগেও আরও মামলা হয়েছিল তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে উনি সারেন্ডার করে বেলেই (জামিন) ছিলেন। আমরা বৃহস্পতিবার আদালত চলাকালে অভিযোগ দিয়েছি, ‘রাজন ভূইয়া হলো অভ্যাসগত অপরাধী। উনার বিরুদ্ধে এতোগুলো মামলা ছিল এবং এতোগুলো মামলা চলছে। এখন এ রকম অপরাধী জামিনে থাকলে তো সমস্যা। ’ আমার অভিযোগ শুনে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে উনাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন। ’
গত ২৯ মে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার পূর্ব নরসিংহপুর সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় চাঁদা না পেয়ে হামলা করে রাজন ভূঁইয়ার ছোটো ভাই রাকিব ভূঁইয়া (২৪), জাহিদ ভূঁইয়া (২৫), মো. শামীম (২৫), মো. শরীফ (২৫), মো. হৃদয় (২২) ও মো. অনিক (২০)। পরে রাতে আশুলিয়া থানায় রাজন ভূঁইয়াকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
এসএফ/এএটি