ঢাকা: রাজধানীর প্রেসক্লাবে ব্যবসায়ী গাজী আনিসের আত্মহত্যার প্ররোচণার ঘটনায় হেনোলাক্সের মালিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) মামলাটি হস্তান্তরের ফলে এখন থেকে এটি তদন্ত করবে ডিবি রমনা বিভাগ।
ডিবি রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কশিনার (এডিসি) মিশু বিশ্বাস বলেন, মামলাটি আমাদের হাতে এসেছে। আসামি বুঝে নিয়েছি। রিমান্ডে তাদের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গত ৪ জুলাই বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে গাজী আনিস নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জুলাই ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই। যার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৫ জুলাই রাতে) রাজধানীর উত্তরা থেকে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৩ এর অভিযানে আসামি নুরুল আমিন (৫৫) ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়।
নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনকে গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, গাজী আনিসের সঙ্গে তাদের লেনদেন ছিল বলে প্রাথমিকভাবে তারা স্বীকার করেছেন। তবে গাজী আনিস কতো টাকা পেতেন এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও আসামিদের দাবির সঙ্গে তথ্যের গড়মিল রয়েছে।
তারা দাবি করেছেন, তাদের কাছে আর কেউ টাকা পেতেন না। তবে আর কেউ টাকা পেতেন কি-না কিংবা ভুক্তভোগী গাজী আনিস কতো টাকা পেতেন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গাজী আনিসের স্বজনরা দাবি করেছেন, হেনোলাক্স কোম্পানি কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ হত্যার পেছনে হেনোলাক্স কোম্পানির মালিক নুরুল আমিন জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২২
পিএম/জেডএ