ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি শেষ হয়েছে। রোববার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে এই শুনানি শেষ হয়।
এদিন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে চার্জশুনানি করেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। এরপর আগামী ২৪ জুলাই আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য জানান।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের নামে দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এরই মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, এম শামছুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী ও এ এস এম শাহাদত হোসেন, সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন, সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ ও লুৎফুল কবীর।
দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। সেখানে বন্দি অবস্থায় অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় গত বছর তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি এখন গুলশানের নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২২
কেআই/এমএমজেড