ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় মাফিজুল ইসলাম (২৩) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
 
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মাফিজুল ইসলাম জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামের মৃত রিয়াজ আলীর ছেলে।  
তিনি এ মামলার একমাত্র আসামি।
 
জরিমানার অর্থ ভিকটিমের সন্তানদ্বয়কে দিতে হবে। সেই সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেন বিচারক।
 
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামে মো. দুলাল হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় তার স্ত্রী জোছনা বেগম (২৩) তার দুই সন্তানকে পড়াচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ করে মাফিজুল বাড়িতে ঢুকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জোছনাকে হত্যা করে পালিয়ে যান। এসময় দুলালের ছেলে-মেয়ে ও চাচা-চাচির সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
 
এর দুই বছর আগে জোছনার সঙ্গে জোর করে প্রেম করার চেষ্টা করলে এলাকায় এ বিষয়ে সালিশ হয়। ওই সালিশে মাফিজুলকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। পরে মেয়েটির বিয়ে হয় একই গ্রামের দুলাল হোসেনের সঙ্গে। এরপর মেয়েটির সঙ্গে পরকীয় করার চেষ্টা করলে মেয়েটি প্রত্যাখান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে হত্যা করেন তিনি।  

ঘটনার দিন রাতেই মাফিজুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে রাণীশংকৈল থানায় মামলা করেন দুলাল। পরে রাণীশংকৈল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল আলম মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ মে মাফিজুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন বিচারক।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর প্রতি যে কোনো ধরনের সহিংসতা বন্ধে এটি একটি যুগান্তকারী রায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।