ঢাকা: ভুয়া পরোয়ানা ৬৮ দিন হাজতবাস করা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার মো. আওলাদ হোসেনকে ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বিবাদীরা।
সোমবার (২ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী এমাদুল হক বশির।
বিষয়টি আদালতে হলফনামা আকারে অবহিত করার পর ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ (ডিসচার্জ ফর ননপ্রসিকিউশন) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আশুলিয়ার মির্জা নগর এলাকার টাকসুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. আওলাদ হোসেন। চাকরি করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর হঠাৎ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার থেকে পরোয়ানা আছে বলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আওলাদ হোসেন একের পর এক পরোয়ানা মাথায় নিয়ে প্রথমে কক্সবাজার পরে রাজশাহী তারপর বাগেরহাট হয়ে শেরপুরের মামলায় কারাগারে ছিলেন।
তার আইনজীবীর দাবি এসব পরোয়ানা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে করা। তাই তাকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি তা নিশ্চিতে হাইকোর্টে হাজির করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রিট করেন আওলাদ হোসেনের স্ত্রী।
তখন মো. আওলাদ হোসেনকে হাইকোর্টে হাজির হতে বা হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কারা এসব ভুয়া পরোয়ানার সঙ্গে যুক্ত তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এমাদুল হক বশির বলেন, হাইকোর্টের আদেশের পর আওলাদ হোসেন মুক্তি পেয়ে হাইকোর্টে হাজির হন। এদিকে সিআইডি প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে তাদের বিবাদী করে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি সম্পূরক আবেদন করি। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
এ অবস্থায় বিবাদী পক্ষ ৩২ লাখ টাকা দিয়ে আপস করেছে। তাই আমরা আদালতে বলেছি ক্ষতিপূরণের রুল আর চালাবো না। এরপর আদালত খারিজ (ডিসচার্জ ফর ননপ্রসিকিউশন) করে দেন। তবে ২০১৯ সালের মূল রিট এখনও চলমান আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
ইএস/আরবি