ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

টিপু হত্যা: আ’লীগ-জাপা নেতাসহ কারাগারে ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২২
টিপু হত্যা: আ’লীগ-জাপা নেতাসহ কারাগারে ৪

ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাসহ চারজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (০৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- জাতীয় পার্টি (জাপা) নেতা জুবের আলম খান রবিন, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান টিটু ও আরিফুর রহমান সোহেল এবং খায়রুল।

গত ৩১ জুলাই এই চারজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। আসামিপক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। তবে মামলার মূল নথি অন্য আসামির জামিন শুনানির জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় জামিন শুনানি না করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৩০ জুলাই রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ইন্টারপোলের মাধ্যমে মুসাকে দেশে ফেরানোর পর একাধিক দফায় হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেন মুসা। কিলিং মিশনে কার কী ভূমিকা ছিল সেটি তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে। মুসার তথ্য যাচাই করতে বিভিন্ন সময় আরও কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। এর মধ্যে টিপু হত্যা পরিকল্পনায় টিটু, রবিন ও সোহেল সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলে। চারজনের মধ্যে টিটু সবচেয়ে দুর্ধর্ষ। আসামিদের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগসূত্র দীর্ঘদিনের। যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্ক্কীর সঙ্গে এক সময় তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল।

নিহত টিপু সরকারি নানা দপ্তরের ঠিকাদারি করতেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। ওমর ফারুক যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন টিপু, যেখানে তিনি নিয়মিত বসতেন।

ওই হোটেল থেকে মাইক্রোবাসে সঙ্গীদের নিয়ে ফেরার পথে আগ্নেয়াস্ত্রধারী এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়ির জানালা দিয়ে টিপুকে হত্যা করে পালিয়ে যান। হামলাকারীর ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন, যিনি ওই সড়কে রিকশায় যাচ্ছিলেন। টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন।

এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত নামাদের আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২২
কেআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।