ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টিকে গেল আড়াই হাজার সংসার

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
টিকে গেল আড়াই হাজার সংসার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া লাগানো, পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সহিংতার শিকার নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টার।  

বিশেষ ডেক্সের এ কার্যক্রম ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই প্রথম চালু হওয়ায় আশার আলো দেখছে অসহায় নারী ও শিশুরা।

এতে পারিবারিক কলহ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং দাম্পত্য সমস্যায় আদালতে মামলা মোকাদ্দমা গড়ানোর আগেই আসছে ভালো সমাধান। এতে জেলায় নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা অনেকটাই কমে এসেছে।  

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলা কমিয়ে আনতে ২০১৫ সালের আগস্টে দেশে প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়। একজন ইন্সপেক্টর ও দু’জন কনস্টেবল দিয়ে এর কার্যক্রম চলছে। যেসব পারিবারিক কলহ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং দাম্পত্য সমস্যায় এখনো মামলা হয়নি, সেসব সমস্যা সমাধানে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযোগগুলোকে রেজিস্ট্রারভুক্ত ও জিডি করে ভুক্তভোগীকে প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হয় এ সেন্টারে।  

এ ব্যাপারে জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. নাসির মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রমের আইনগত বৈধতা না থাকলেও পারিবারিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আগে জেলায় প্রতি বছর দুই হাজার নারী নির্যাতনের মামলা হলেও তা এখন অনেকটা কমে গেছে। নারী নির্যাতন রোধের পাশাপাশি ভেঙে যাওয়া পরিবারের খোরপোষ আদায় ছাড়াও বৃদ্ধ মা-বাবার ভরণপোষণ আদায়ের বিষয়েও বিশেষ এ ডেস্ক অবদান রাখছে।  

বেশ কয়েক ভুক্তভোগী বাংলানিউজকে বলেন, উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে তাদের ভেঙে যাওয়া সংসারে আবার ফিরে এসেছে শান্তি। এছাড়া মামলায় জড়ানোর সক্ষমতা যেসব পরিবারের নেই, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কল্যাণকর হয়েছে।

বিশেষ এ ডেক্সের কর্মকর্তা কামরুন নাহার বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৩৮৩টি অভিযোগ পড়ে। এর মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা ছাড়াই তিন হাজার ৩৫০টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত আড়াই হাজার সংসার বিচ্ছেদের হাত থেকে টিকে গেছে। প্রতিদিন এ ডেস্কে অভিযোগ নিয়ে তিন/চারটি পরিবার পুলিশিং সেবা নিতে আসছে। এতে করে মামলা অনেকটা কমে এসেছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ ডেস্ক যৌতুক, শিশু নির্যাতন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। এতে পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়ানোর আগেই সমাধান হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।