ঢাকা: ২০১৩ সালের কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী স্নিগ্ধা আক্তার রিমিকে হত্যা মামলায় স্বামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিহাব উদ্দিন শিশিরকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশে অনুমতি দেননি হাইকোর্ট। তবে তাকে ১০ বছরের দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে হাইকোর্টে পাঠানো ডেথ রেফারেন্সের খারিজ করে রোববার (২ অক্টোবর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহর বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী বুলবুল রাবেয়া বানু।
২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে তিনটার দিকে স্বামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিহাব উদ্দিন শিশিরে হাতে খুন হন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী স্নিগ্ধা। এ ঘটনার পরদিন স্নিগ্ধার খালাতো ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২০ মার্চ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক রেজা মহম্মদ আলমগীর হাসান এ রায় দেন।
রায়ে শিশিরকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তবে শিশির পলাতক রয়েছে। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ওই ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২ অক্টোবর দিন রাখা হয়েছিল।
রিমি কুষ্টিয়া শহরতলীর চৌড়হাস ফুলতলা এলাকার মো. আব্দুল খালেকের মেয়ে। আসামি শিহাব মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা,অক্টোবর ০২, ২০২২
ইএস/এএটি