ঢাকা: রাজধানীর আসাদগেটে চলন্ত বাসে তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় ফারুক নামে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম আসামি ফারুকের জবানবিন্দ রেকর্ড করেন।
একই মামলায় অপর পাঁচ আসামির দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় রোমানকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী কিশোর সংশোধনাগার কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন সাত আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় ফারুক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তিনি। বিচারক তার আবেদন মতে জবানবন্দি রেকর্ড করে ফারুককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপরদিকে জিতু, জসিম, মোস্তফা, জুবায়ের ও রাব্বির পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন এবং রোমানকে কিশোর সংশোধনাগার কেন্দ্রে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আসাদগেটে চলন্ত বাসে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এতে ২২ বছর বয়সী রাব্বি হোসেন ও ২০ বছরের মো. শাওন হোসেন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বি মারা যান।
রাব্বি মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ও সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি রাজধানীর লালবাগের শহীদ নগরে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, পিকনিক থেকে বাসে করে ফেরার সময় বাসের ভেতর ছুরিকাঘাতে দুজন আহত হয় বলে জানা গেছে। রাব্বির পেটে ও পায়ে, আর শাওনের পিঠে ছুরিকাঘাত রয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলন্ত বাসে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলার শিকার হন রাব্বি ও শাওন।
এ ঘটনায় গত বুধবার শেরেবাংলা নগর থানার মামলা হয়। ওইদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
কেআই/আরবি