ঢাকা: করোনাকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গোপনীয় নথি চুরির অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের মামলায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের (ফাইনাল রিপোর্ট) বিষয়ে শুনানি পিছিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এ প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।
এদিন জামিনে থাকা রোজিনা ইসলাম আদালতে হাজির হন। তবে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোজিনা ইসলামকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম।
২০২১ সালের ১৭ মে বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তাকে এদিন ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সচিবালয় থেকে পুলিশি পাহারায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয় ওইদিন রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/৫ এর ধারায় এ মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
যেখানে তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি চুরি ও ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় একমাত্র আসামি ছিলেন রোজিনা ইসলাম।
সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ওই বছরের ২৩ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চ্যুয়াল আদালত পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
কেআই/আরআইএস