মানসিক চাপ বাড়লে তা চোখে, মুখে স্পষ্ট ফুটে ওঠে। কথায় রয়েছে, মনের ছাপ মুখে পড়ে।
রাতে ঠিক করে ঘুম হয় না। বাড়ছে অনিদ্রার সমস্যা। ক্লান্ত থাকার সত্ত্বেও মাঝরাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়। এ লক্ষণকে অবহেলা করবেন না। এর কারণে ওজনও বেড়ে যায়। এগুলোর পিছনে দায়ী মানসিক চাপ।
প্রচণ্ড পরিমাণে মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে? টানা ঘুম দিয়েও মাথার যন্ত্রণা কমাতে পারছেন না? এ ঘন ঘন মাথা ব্যথা আদতে মানসিক চাপের লক্ষণ। এ সমস্যা তখনই দেখা দেয় যখন আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন।
বাড়ির খাবার খেয়েও দেখা দিচ্ছে অ্যাসিডিটির সমস্যা। যদি আপনার পেটের সমস্যা না থাকে তাহলে এটাও কিন্তু মানসিক চাপের জন্যই ঘটে। কারণ পাচনতন্ত্র বিভিন্ন স্নায়ু দ্বারা মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই যখনই মানসিক চাপ বাড়ে তার প্রভাব পড়ে হজমের ওপর। এ সমস্যা ক্রমাগত চলতে থাকলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
একটানা বসে কাজ করলে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠে ব্যথা হতে শুরু হয়। অনেকেই ভাবেন যে শারীরিক পরিশ্রমের কারণে পেশিতে ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু সেটা নয়। মানসিক চাপ বাড়লে অনেক সময় পেশিতে ক্র্যাম্প হয়।
স্ট্রেস বাড়লে শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়। কাজে মন বসে না। কোনো কাজই ঠিক করে করা যায় না। কিছু সময়ের জন্য শরীরও আপনার মনের মতো 'ফ্লাইট মোড'-এ চলে যায়। এ লক্ষণ সহজেই ধরা পড়ে ঠিকই কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ এটা উপেক্ষা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
জেডএ