টক ফল শুধু সুস্বাদু ও মজার নয়, আপনার শরীরের জন্যও ভালো। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে লেবু, কমলা, জাম্বুরাসহ আরও অনেক ফল।
টক ফল ভিটামিন সি- এর একটি চমৎকার উৎস। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার ত্বক মসৃণ করে। মাত্র একটি মাঝারি কমলা খেলেই প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ‘সি’ পাবেন। টক ফলগুলোতে অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজও ভালো পরিমাণে রয়েছে। যা আমাদের শরীর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন। এছাড়া ভিটামিন ‘বি’, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং তামাও আছে। এছাড়া টক ফলে রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তো আছেই, আরও আছে ৬০- এর বেশি ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং অপরিহার্য তেল।
ফাইবারের ভালো উৎস
টক ফল ফাইবারের একটি ভালো উৎস। মাত্র এক কাপ কমলায় চার গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবারের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যার মধ্যে হজম ভালো হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করা। কমলাতে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অন্যান্য ফল এবং শাক-সবজির তুলনায় টক ফলে দ্রবণীয় থেকে অদ্রবণীয় ফাইবারের অনুপাত বেশি থাকে।
টক ফলে ক্যালোরির পরিমাণ কম
ক্যালোরি কম খেতে চাইলে টক জাতীয় ফল খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। ক্যালোরি কম থাকলেও এতে থাকা পানি এবং ফাইবার আপনার চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
কিডনি পাথরের ঝুঁকি কমায়
এক ধরনের কিডনি পাথর প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা কমের কারণে হতে পারে। অনেক ফল এবং শাক-সবজি, বিশেষ করে সাইট্রাস ফল আপনার প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা বাড়াতে পারে। এটি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
হার্টের স্বাস্থ্য
সাইট্রাস ফল খাওয়া হার্টের জন্য ভালো। জাপানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এ ফলগুলো বেশি পরিমাণে খেয়েছেন তাদের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের হার কম ছিল। সাইট্রাস ফলের অনেকগুলো ফ্ল্যাভোনয়েড, যার মধ্যে একটি নারিংজিন নামে পরিচিত। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হার্টকে ভালো রাখে।
মস্তিষ্ককে দুর্বলতা থেকে রক্ষা করতে পারে
টক ফলের ফ্ল্যাভোনয়েডগুলো আলঝেইমার এবং পারকিনসনের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
সূত্র: হেল্থ লাইন
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
আরআইএস