আজকাল দাড়ি রাখা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বে বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গেছে, যে পুরুষরা দাড়ি রাখেন, তাদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ তুলনামূলক বেশি।
দাড়ি রাখার হ্যাপাও কম নয়। একটু বড় হলেই দাড়িতে হতে পারে খুশকি, দেখা দিতে পারে চুলকানিও। তাই শুধু ফ্যাশন বা লুক বদলের জন্য দাড়ি রাখলেই হবে না, নিতে হবে দাড়ির সঠিক যত্নও। নিজের স্মার্ট চেহারাটিকে ধরে রাখতে দাড়ির যত্ন কীভাবে নেবেন আসুন জেনে নিন।
চুল দাড়ি গজানো শুরু হওয়ার পরপরই দাড়ির কাট দেবেন না। চুল গজানোর জন্য চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় দিন। কারণ দাড়ির সবগুলো চুল একই সাইজের হয় না। তাই একটু বড় হওয়ার পরই দাড়ির কাট দিতে পারেন।
দাড়ির জন্য বিশেষ শ্যাম্পু বাজারে পাওয়া যায়। সেটা না পেলে চুলে ব্যবহার করা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়েই কাজ চালাতে পারেন।
অনেকেই জানেন না, দাড়িতে মাখার জন্য বিশেষ তেলও পাওয়া যায়। দাড়ির শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করার জন্য দাড়ির তেল মাখুন। এটি আপনার দাড়ির চুলকে রাখবে নরম ও ঝকঝকে। পাশাপাশি মুখের ত্বকের শুষ্ক ভাবটাও চলে যাবে।
প্রতিদিনই আপনার দাড়িতে চিরুনি ব্যবহার করুন। দাড়ির জন্য বিশেষ চিরুনি পাওয়া যায়। বিভিন্ন অনলাইন শপগুলোতে পেতে পারেন দাড়ি আঁচড়ানোর এই বিশেষ চিরুনি। আর না পেলে বাজারে পাওয়া সবচেয়ে ছোট চিরুনি দিয়েই আঁচড়ে নিন আপনার দাড়ি।
দাড়ির যত্নে ব্যবহার করা যায় বিশেষ ধরনের মলমও। তবে, যাদের লম্বা দাড়ি আছে তারা এটা ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট দাড়িতে ব্যবহার করে আরাম পাওয়া যাবে না।
ব্যবহার করুন বিয়ার্ড ট্রিমার। দাড়িকে কাটার জন্য ছোট ট্রিমার পাওয়া যায় বাজারে। চার্জযোগ্য অনেক ট্রিমারই বাজারে পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করা বেশ নিরাপদ।
হঠাৎ দেখা যায় দুইটি-একটি দাড়ি অতিরিক্ত বড় হয়ে গেছে। সেসঙ্গে গোঁফের কিছু চুলও বড় হয়ে যায়। এজন্য হাতের কাছে রাখতে পারেন দাড়ি-গোঁফ কাটার জন্য বিশেষ কাচি। পাশাপাশি, দাড়ি ও ত্বককে নরম রাখতে ব্যবহার করুন নারিকেল তেল, বেবি অয়েল, ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ তেল অথবা এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল।
ত্বক এবং চুলের জন্য অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। কারণ, অ্যালোভেরা হলো এনজাইমের অন্যতম উৎস। ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বক এবং দাড়ির গোড়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এটি। সম্ভব হলে প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন এবং দাড়িতে আনুন একস্ট্রা সাইন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
এএটি