প্রতিদিন আমরা যে খাবারগুলো খাই দাঁত তা চূর্ণবিচূর্ণ করে ভেঙে পরিপাক উপযোগী করে তোলে, ফলে আমরা যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ করতে পারি।
সেজন্য বলা হয় মুখের স্বাস্থ্য সামগ্রিক দেহের স্বাস্থ্যের প্রতিচ্ছবি।
আসুন জেনে নেই-
মিষ্টি বা চিনিযুক্ত আঠালো খাবার, যেমন কেক, পেস্ট্রি, ক্যান্ডি, ব্রেড ও ভঙ্গুর মচমচে মিষ্টি চিপস ইত্যাদি।
মিষ্টি ফলমূল যেমন খেজুর, কিশমিশ খাওয়ার পর দাঁতে লেগে থাকলে তাতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। আবার এসিডযুক্ত ফলের জন্য এনামেলের ক্ষতি হতে পারে। মাখনযুক্ত চিনাবাদাম দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। কম পানিযুক্ত শুকনা ফল দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।
কার্বোনেটেড কোমল পানীয়তে প্রচুর চিনি, ফসফরিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড থাকে। এগুলো এনামেলের জন্য ক্ষতিকর।
কফি, অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। কারণ তা লালা নিঃসরণ কমিয়ে দেয়।
ক্ষতি প্রতিরোধে-
মিষ্টি খাবারগুলো বা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলো অনেক সময় আমাদের প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে খেতে হতে পারে; কিন্তু তা যেন আমাদের দাঁতে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
প্রথমে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। পরে মিষ্টি খাবার খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার প্রথমে খেলে মুখ থেকে লালা নিঃসৃত হবে, যা ক্ষতি কিছুটা প্রশমিত করবে।
প্রতিদিন দুইবার ১২ ঘণ্টা অন্তর ব্রাশ করতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিবার খাবার পর ব্রাশ করতে হবে।
প্রতি রাতে একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।
মিষ্টি ও আঠালো খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করতে হবে।
ফল বা ফলের রস পান করার কুলকুচি করতে হবে।
ক্ষতি হয়ে গেলে-
দ্রুত ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে এবং পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ক্ষতি জটিলতর অবস্থায় না চলে গেলে প্রফেশনাল ডেন্টাল কেয়ার জন্য যা করার দরকার তা করতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে বা ডেন্টিস্টের কাছে বার্ষিক ভিজিট নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
জেডএ