ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ত্বকের পরিচর্যায় ড্রাই ফ্রুটস

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
ত্বকের পরিচর্যায় ড্রাই ফ্রুটস

সুন্দর ও কোমল মুখশ্রী পেতে শুধু ফেসপ্যাক মাখলেই চলবে না। পাশাপাশি বাড়াতে হবে ভিতরের পুষ্টিগুণও।

আর ভিতরের রূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাঁচা ফলের জুড়ি নেই। আবার কিছু ফল আছে যা শুকনো অবস্থায়ও দারুণ কার্যকরী। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস।

কেননা ড্রাই ফ্রুটস বিভিন্ন ভিটামিন, এসেনশিয়াল ফ্যাট এবং নানা পুষ্টিগুণের উৎস। এগুলো শুধু শরীরেরই পুষ্টি সাধন করে না, একই সঙ্গে ত্বকের নানা রকম ক্ষয়পূরণেও সাহায্য করে।

খেজুর : এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে কোমল করতেও সাহায্য করে।

চিনাবাদাম : চিনাবাদাম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুর্লভ! চানাচুর বা মসলা মুড়ির অন্যতম প্রধান উপাদান এই চিনাবাদাম। এর মধ্যে থাকে ভিটামিন-ই যা ত্বকে কালো ছোপ পড়া থেকে রক্ষা করে। প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে কোমল করে তোলে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

কাজুবাদাম : কাজুবাদাম খেতে দারুণ সুস্বাদু। এটি প্রাকৃতিকভাবে মুখত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে নিয়াসিন, কপার ও অন্যান্য উপকারী অনেক উপাদান। এই উপাদানগুলোই ত্বককে পিগমেন্টেশন, ডার্মাটাইটিস থেকে রক্ষা করে।

কাঠবাদাম : কাঠবাদাম খারাপ  কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ক্যালোরির বড় উৎস। এর মধ্যে আছে ভিটামিন-ই। যা ভিতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ত্বককে কোমল করে; একই সঙ্গে নিয়মিত এর তেল ম্যাসাজে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে ত্বক ভিতর থেকে পুষ্টি পায় এবং সুস্থ থাকে।

পেস্তাবাদাম : শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা অনায়াসেই নিজেদের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন পেস্তাবাদাম। এতে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা  কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬ ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্রতা দেয়। তা ছাড়া পেস্তাবাদাম ত্বকের গ্রোতেও সাহায্য করে।

আখরোট : ভিতর থেকে ত্বক পরিচর্যায় আখরোট বেশ উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি এবং উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা-৩। আছে ভিটামিন, মিনারেলস এবং প্রোটিন। যা আমাদের ত্বকের ক্ষয় রোধ করে। একই সঙ্গে অ্যান্টিএজিং হিসেবেও কাজ করে।

কিশমিশ : কিশমিশের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের এজিং প্রতিরোধে সহায়ক। এ ছাড়া এর ভিটামিন-এ, বিভিন্ন খনিজ ত্বককে কোমল করে এর পুষ্টি প্রদান করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।