সুস্বাস্থ্যের জন্য রাতে নিয়মমাফিক ঘুমানো জরুরি। অনেকে ঠিক সময় ঘুমাতে গিয়ে এপাশ-ওপাশ করেও ঘুমাতে পারেন না।
সংস্কৃত শব্দ ‘ভ্রমর’ অর্থ ‘মৌমাছি’। এটি অভ্যাসের সময় গুঞ্জনরত মৌমাছির মতো শব্দ করতে হয় বলেই প্রাণায়ামটির নাম ভ্রামরী।
প্রতিদিন ঠিক ঘুমানোর আগে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট করতে হবে ভ্রামরী প্রাণায়াম। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ২১ দিন টানা করবেন। অনিয়মিত অভ্যাসে ঠিকমতো উপকার পাবেন না।
তাহলে আসুন জেনে নিই ভ্রামরী প্রাণায়াম করার নিয়ম:
প্রথমে মেরুদণ্ড সোজা করে বসে পড়ুন। চেয়ারে বসেও মেরুদণ্ড সোজা করে স্থির হয়ে এই প্রাণায়াম করা যেতে পারে। দুই হাতের দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দুই কানের ছিদ্রপথ বন্ধ করতে হবে। বাকি চারটি আঙুল দিয়ে মুখমণ্ডলের চারটি স্থান স্পর্শ করতে হবে।
তর্জনী দুই চোখের উপরিভাগে আলতোভাবে স্পর্শ করে রাখতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যেন চোখের ওপর বেশি চাপ না পড়ে। মধ্যমা দুটি দুই চোখের পাতাকে আলতো করে চেপে রেখে নাকের ওপরের অস্থিকে স্পর্শ করবে।
অনামিকা রাখতে হবে ওপরের ঠোঁট ও নাকের মাঝামাঝি কনিষ্ঠা রাখতে হবে নিচের ঠোঁট ও থুতনির মাঝে। এবার নাক দিয়ে ভ্রমরের মতো গুঞ্জন করতে থাকুন। গুঞ্জন হবে জোরালোভাবে। মুখ বন্ধ থাকবে। শুধু নাক দিয়ে শব্দকম্পন করতে হবে। অনুভব করতে পারবেন, আপনার মাথার অভ্যন্তরে কম্পন হচ্ছে। দুই কানের ছিদ্রে বৃদ্ধাঙ্গুলি এমনভাবে ব্যালান্স করে রাখতে হবে, যাতে আপনি সর্বোচ্চ পরিমাণ শব্দ ও ভাইব্রেশন অনুভব করতে পারেন।
এক রাউন্ড শেষ হলে আবারও গভীরভাবে শ্বাস নিন ও একইভাবে অভ্যাস করুন। পাঁচ বার একইভাবে ভ্রামরী অভ্যাস করার পর হাত নামিয়ে কয়েক মিনিট চুপ করে বসে থাকুন।
অনুশীলন শেষে চোখ বন্ধ রেখেই দুই হাত আস্তে আস্তে নামিয়ে নিন। দুই হাতের তালু পরস্পরের সঙ্গে কয়েকবার ঘষে তাপ উৎপন্ন করুন। এই তাপ মেখে নিন আপনার চোখে-মুখে, কাঁধে-গলায় ও সারা গায়ে। এবার মুখে স্মিত হাসি নিয়ে ধীরে ধীরে চোখ খুলুন।
ব্যস, হয়ে গেল আপনার ভ্রামরী প্রাণায়াম অনুশীলন। দেখবেন মস্তিষ্কে ও মনের মধ্যে দারুণ একটা স্বস্তি ও প্রশান্তি হচ্ছে। এটা প্রতিদিনই ঘুমাতে যাওয়ার আগে করুন আর এর উপকারিতা নিজেই অনুভব করুন। আপনি চাইলে বিছানায় বসেও এটি করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
এএটি