বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাড়তি ওজন, ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বা বংশগতি যে বিষয়গুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, এগুলো হৃদরোগেরও ঝুঁকি। তাই এ সমস্যা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বর্তমানে ডায়াবেটিসের কারণে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। ৪০ বছরের নিচে অনেক তরুণ নানা ধরনের হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের একটি বড় অংশ হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত বুঝতেই পারেন না যে তার হৃদরোগ আছে। মূলত ডায়াবেটিসের কারণে হৃদরোগ হলে বুকে ব্যথা বা চাপ লাগা, ঘাম অথবা পরিচিত উপসর্গগুলো হয় না বললেই চলে, এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস এবং হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ প্রায় এক হওয়ার কারণে অনেক ডায়াবেটিক রোগীই হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ বুঝতে পারেন না।
এমনকি কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সাইলেন্ট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বা নীরব হার্ট অ্যাটাক। তাই একমাত্র সচেতনতাই সমাধান।
ডায়াবেটিস থেকে হৃদরোগ হওয়া এড়াতে —
• রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, তাই শর্করা পরীক্ষা করতে হবে
• রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে
• চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে চর্বি কমানোর ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে
• উচ্চ ক্যালরি ও অতিরিক্ত লবণও এড়িয়ে চলতে হবে
• ধূমপান পরিহার করতে হবে
• সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে
• নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
• ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
• নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ও হৃদরোগ-ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয়ে সচেতন হোন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
এসআইএস