হঠাৎ ঘুমের মধ্যে অনেকেরই পায়ের রগে টান ধরে। আবার ঘুম থেকে উঠতে গেলে কিংবা সকালে হাঁটা শুরু করতেই পায়ের শিরায় টান ধরতে পারে।
শরীরের ক্ষমতা যতটা তার থেকে যদি বেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয় তা হলে পেশির মধ্যে জমা হয় ল্যাক্টিক অ্যাসিড। যা আমাদের পেশিকে সংকুচিত করে রাখে প্রসারিত হতে দেয় না। আমাদের শরীর ৯০ শতাংশই তরলে পূর্ণ। শরীরে তরলের পরিমাণ যখন সঠিক থাকে অঙ্গগুলোও ঠিকমতো কাজ করে। পানির পরিমাণ কমলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তখনই পেশির সংকোচন দেখা যায়।
সুস্থ থাকার জন্য ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো বিভিন্ন মিনারেলস বা খনিজ পদার্থের প্রয়োজন। তেমনই প্রয়োজন বি-৬, বি-১২, বি-সির মতো বিভিন্ন ভিটামিনের। শারীরবৃত্তীয় কারণে যদি এসব ভিটামিন বা মিনারেলের তারতম্য হয় তবে পেশিতে টান লাগতে পারে।
যে উপায় এড়ানো যাবে এই সমস্যা
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
সারাদিনের আহার সময় মতো গ্রহণ করা প্রয়োজন। ব্যালেন্স ফুড খাওয়া খুব জরুরি।
এক নাগাড়ে কাজ না করে মাঝেমধ্যে সাময়িক বিরতি নিতে হবে।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা যায়।
বারবার পেশিতে টান ধরলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এসব উপায়গুলোকে অনুসরণ করলেই মিলবে সাময়িক স্বস্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এএটি