ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতাযুদ্ধে অজুত-সহস্র ত্যাগের পরেই আসে মুক্তির স্বাদ, অর্জিত হয় বহুল কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
মুক্তিযুদ্ধের লড়াকু সৈনিকদের এ বীরত্বগাথা অম্লান থাকবে ততদিন, যতদিন টিকে থাকবে স্বাধীন এই ভূখণ্ড আর তার লাল-সবুজের পতাকা।
এই বীরত্বগাথা আর গৌরবের পতাকা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বভারটা রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজ এমনকি পরিবারেরও। বিশেষ করে মা-বাবার। কারণ শিশুদের প্রথম শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকেই। পরিবারই শিশুর প্রথম বিদ্যালয়। মা-বাবার মতো ভালোবেসে আর কেউই শেখাতে পারবে না শিশুকে।
একটি শিশুকে মানবিক মানুষ তৈরি হতে ভিত্তি গড়ে দেয় তার পরিবারই। শেকড়কে আঁকড়ে ধরে শিখরে পৌঁছাতে প্রতিটি ধাপে কীভাবে চলতে হবে সে পাঠও মা-বাবার কাছেই শেখে তারা।
স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা দিবস, বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবসসহ দেশের সঠিক ইতিহাসও জানানোর দায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে।
দেশের ইতিহাস জানলেই শিশু দেশকে ভালোবাসতে শিখবে। যে দেশকে ভালোবাসে, সে তার মা-বাবাকেও ভালোবাসে, সে দেশের আইনকেও শ্রদ্ধা করে। দেশের মানুষের কল্যাণে যেকোনো ভালো কাজে তার দেখা পাওয়া যায় সবার আগে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
এইচএ/এসএএইচ