হাড় আমাদের শরীরের ভার বহন করে। হাড়ের যত্নে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অপরিসীম।
ভিটামিন ‘ডি’ যুক্ত খাবার
ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে প্রথমেই যে খাবারটির কথা বলা যায় সেটি হলো ডিম। এটি ভিটামিন ‘ডি’র একটি উৎকৃষ্ট উৎস। হাড় সবল রাখার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘ডি’ দরকার। সূর্যালোকে আছে এই ভিটামিন। তাই রোদে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করা উচিত। এই অভ্যাস সব বয়সীদের থাকা দরকার। এছাড়া মাশরুম ও তৈলাক্ত মাছে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
কমলালেবু
কমলালেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’র সঙ্গে ক্যালসিয়াম রয়েছে। সেই কারণে অস্টিওআর্থারাইটিসের রোগীদের প্রতিদিন একটা করে কমলালেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যদিও শীত মৌসুম ছাড়া পাওয়া যায় না কমলালেবু, তবে সারা বছর কমলালেবু খাওয়া গেলে তা আদতে উপকার করবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগা রোগীদেরই।
দুধ
দুধের মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে এ কথা অনেকেরই জানা। সেই কারণেই শিশুদের হাড়ের গঠন মজবুত করতে দুধ খাওয়ানো হয়। তবে শুধু অল্প বয়সে নয়, পরিণত বয়সেও ‘দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে’ এই মন্ত্র স্মরণ করে সকালের নাস্তায় এক গ্লাস দুধ খেতেই পারেন। দুধ থেকে তৈরি অন্যান্য নানা উপকরণ যেমন দই বা ছানার মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।
আমন্ড বাদাম
আমন্ড বাদামের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে প্রতিদিনের নাস্তায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে এক মুঠো আমন্ড বাদাম খান। কাঁচা আমন্ড খেতে না পারলে পানিতে ভিজিয়েও সকালবেলা আমন্ড বাদাম খেতে পারেন।
সয়াবিন
সয়াবিনের মধ্যে ভরপুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। দুপুর ও রাতের মেনুতে মাঝেমধ্যেই সয়াবিন রাখুন। সয়াবিনের বীজও পথ্য হিসেবে অত্যন্ত উপকারী। ফলে সয়াবিনের পাশাপাশি সয়াবিনদানার তরকারিও খেতে পারেন ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগা রোগীরা।
ডুমুর
ডুমুর বা থোড়ের মতো সবজি ইদানিং সহজে পাওয়া যায় না বাজারে। প্রতিদিন ডুমুরের তরকারি খেলে মিটবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
এএটি