ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

যেসব বদভ্যাসে হতে পারে ব্যাক পেইন

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৪
যেসব বদভ্যাসে হতে পারে ব্যাক পেইন সংগৃহীত ছবি।

 
মেরুদণ্ড ও পিঠের ব্যথার পেছনে বড় কোনো রোগ কিংবা সমস্যা জড়িত নাও থাকতে পারে। অনেক সময় সামান্য কারণেই হতে পারে মেরুদণ্ডে ব্যথা বা ব্যাক পেইন।

আপনি যত স্বাস্থ্যবান কিংবা সচেতন মানুষই হন না কেন, এ সমস্যা ভোগাতে পারে আপনাকেও। তাই সময় থাকতে এ বিষয়গুলোতে সাবধানতা জরুরি। জেনে নিন ব্যাক পেইনের সম্ভাব্য কারণগুলো—

সারা দিন বসে থাকা

যারা সারা দিন চেয়ারে বসে কাজ করে তাদেরও হতে পারে পিঠব্যথা। অনেকেই কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলেও ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানে না। এতে পিঠের মাংসপেশিগুলোর ওপর চাপ পড়ে। এছাড়া বসে থাকলে দাঁড়িয়ে থাকার তুলনায় মেরুদণ্ডে ৫০ ভাগ অতিরিক্ত চাপ পড়ে। আপনার অফিসে যদি দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকে তাহলে ১৩০ ডিগ্রি কোণে হেলান দিয়ে বসে কাজ করতে পারেন। এতে মেরুদণ্ডের ওপর চাপ কমবে। এছাড়া আপনার মাথা যেন সোজা থাকে, সেটিও খেয়াল রাখুন।

ভারী ব্যাগ

আপনার যদি সারাক্ষণ ভারী ব্যাগ বহন করার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি মেরুদণ্ডের ব্যথার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে এক কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করার অভ্যাস তৈরি করলে তা আপনার দেহের ও মেরুদণ্ডের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। মেরুদণ্ডের এ ব্যথার হাত থেকে রেহাই পেতে হালকা ব্যাগ বহন করতে হবে। নিজের দেহের ওজনের ১০ ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত ওজন বহন করা যেতে পারে, এর বেশি নয়।

অনুপযোগী ম্যাট্রেসে ঘুমানো

ভালো ম্যাট্রেস আট থেকে ১০ বছর ব্যবহার করা যায়। আর যদি তার চেয়ে বেশি সময় আপনি কোনো ম্যাট্রেস ব্যবহার করেন তাহলে তার কিছু অংশ অতিরিক্ত শক্ত বা নরম হয়ে যেতে পারে। এতে ম্যাট্রেসটি আপনার দেহের ভার বহনে অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে আপনার অনুপযোগী বা পুরনো ম্যাট্রেস বদলে এমন ম্যাট্রেস নিতে হবে, যা খুব বেশি শক্তও নয় নরমও নয়।

হাই হিল বা ফ্ল্যাট জুতা পরা

হাই হিল অনেকের পিঠের ব্যথার জন্য দায়ী। দেহের জয়েন্টগুলোতে চাপ সৃষ্টির ফলে এ ব্যথার উদ্ভব ঘটে। তবে আপনার পায়ের ধরনের ওপর নির্ভর করে ফ্ল্যাট জুতাও পিঠের ব্যথার কারণ হতে পারে। প্রত্যেকের পায়েরই নিজস্ব ধরন থাকে। পরীক্ষার জন্য সামান্য হিলযুক্ত জুতা পরে দেখা যেতে পারে যে তা আপনার পায়ের সঙ্গে যায় কি না।

অসন্তুষ্টি

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের অন্যকে ক্ষমা করে দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা মানসিক চাপজনিত নানা রোগে কম ভোগে। আর তাদের মাঝে হতাশা, রাগ ও শারীরিক ব্যথা কম হয়। আপনার আবেগ ও মানসিক অবস্থার প্রভাব পড়ে মাংসপেশিতেও। আর এ থেকেই হতে পারে পিঠব্যথা।

মানসিক চাপ

আপনি যদি অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করেন, তাহলে আপনার সম্পূর্ণ দেহ তার ভুক্তভোগী হবে। এতে আপনার ঘাড়ের মাংসপেশি থেকে শুরু করে পিঠের টাইট মাংসপেশিগুলো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায় না। আর এতেই শুরু হতে পারে পিঠব্যথা। তবে এ সমস্যা সমাধানে শারীরিক অনুশীলন ও মেডিটেশনের মতো নানা উপায় রয়েছে।

শারীরিক পরিশ্রম

সীমিত মাত্রায় শারীরিক পরিশ্রম ও অনুশীলন সবারই করা উচিত। আর এ ন্যূনতম শারীরিক অনুশীলন করা না হলে আপনার নানা সমস্যা হবে। এ সমস্যার একটি ব্যাক পেইন। এ ধরনের ব্যথা হলে পিঠ ও উদরের ব্যায়ামগুলো করতে হবে।

অতিরিক্ত 'জাংক ফুড'

অতিরিক্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ ও কম পুষ্টিমানের খাবার খেলে তা দেহের ওজন বাড়িয়ে তোলে। এতে মেরুদণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং তাতে ব্যথার সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের অস্টিওআথ্রাইটিসের আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু শরীরের ওজন ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমালেও এতে উপকার পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।