ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

তিল-আঁচিল থেকে রেহাই মিলুক

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
তিল-আঁচিল থেকে রেহাই মিলুক সংগৃহীত ফটো।

ব্রণের মতোই তিল বা আঁচিল মুখের সৌন্দর্যহানির একটা বড় কারণ।  কিন্তু মুশকিল হলো ব্রণ ক্ষণস্থায়ী হলেও তিল বা আঁচিলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন, যদি না সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা হয়।



ত্বকের ওপর যেকোনো জায়গায় তিল বা আঁচিল হতে পারে।  এটা আবার অনেক সময়ে একই জায়গায় একসঙ্গে অনেকগুলো আঁচিল হতেও দেখা যায়। সাধারণত শৈশব থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আঁচিল হয়ে থাকে।  

তিল বা আঁচিল কেন হয়?

মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে, কোনো কারণে এ কোষ ত্বকের কোনো একটা জায়গায় বেশি পরিমাণে সঞ্চিত হলে সেখানে আঁচিলের সৃষ্টি হয় এছাড়াও জিনগত কারণেও আঁচিল হতে পারে।  বিশেষ করে মায়ের যদি আঁচিল থাকে তবে তার সন্তানেরও আঁচিল হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।  আঁচিল কালো বা খয়েরি রঙের হতে পারে।  তবে সাধারণত অত্যাধিক সূর্যের আলো লাগার ফলে বা টিনএজে এবং গর্ভাবস্থায় আঁচিলের রং বেশি গাঢ় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  আঁচিলের মতো তিলও প্রধানত জিনগত কারণে হয়।  তাছাড়া সূর্যালোকও তিল হওয়ার জন্য দায়ী।  

শরীরের যেসব জায়গায় সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে যেমন- মুখে বা হাতে, যেখানে তিল হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে আবার চিকিৎসাজনিত কারণেও অনেক সময়ে তিল হয়।  

রেডিয়েশন থেরাপি দীর্ঘদিন চললেও তার ফলে তিল হতে পারে।  তিল এবং আঁচিলের মতোই অত্যাধিক সূর্যরশ্মি লাগার ফলে আর কিছুটা জিনগত কারণেও আরেকটা প্রবলেম যেটা দেখা দেয় তা হলো ফেকেলস।  

যাদের গায়ের রং ফর্সা তাদের এই সমস্যাটি বেশি করে দেখা যায়।  ফেকেলস এর ফলে মুখে কালো রং খয়েরি ছোপ ছোপ দাগের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যারই সঠিক চিকিৎসা করা হলে অনেকাংশেই তা নির্মূল করা সম্ভব৷ 

এ সমস্যার মুক্তির উপায়:

তিল বা আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য অনেক সময়েই ডার্মাটোসার্জারির প্রয়োজন পরে। এক্ষেত্রে লোকাল আনাসথেসিয়া করেই অপারেশন করা হয়, তার আগে কিছু রুটিন চেকআপের প্রয়োজন পড়ে, যেমন- রক্তের পরীক্ষা, কোনো ওষুধে অ্যালার্জি আছে কি না, এসব দেখা হয় এবং ক’টা আঁচিল বা তিল আছে এসব দেখে অপারেশনের ধরন নির্ধারণ করা হয়। অনেক সময়ে ইলেকট্রো সার্জারিও করা হয় এক্ষেত্রে দাগও মিলিয়ে যায় খুব দ্রুত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো ওপিডি পদ্ধতিতে করা হয় অর্থাৎ অপারেশনের পর কিছুক্ষণ রেখেই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ থাকার প্রয়োজন পড়ে না।  

অপারেশনের পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা দরকার।  সাধারণত এক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ থাকে।

অপারেশনের পর ভালো করে ড্রেসিং করা প্রয়োজন।

পানি লাগানো একেবারেই উচিত নয়। তবে ইলেকট্রোসার্জারি হলে পানি লাগালেও কোনো ক্ষতি হয় না।

যদি সেলাই পড়ে তাহলে পাঁচ থেকে সাত দিন পর সেলাই কাটতে হয় মুখে, চিবুকে ফ্রেকেলস হলে সাধারণত মলম বা ওষুধেই কাজ হয়।

ফ্রেকেলস যেহেতু সূর্যের আলো পড়লে বেশি করে হয়, তাই রোদে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করা অবশ্যই প্রয়োজন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।